আজকে হঠাৎ তানভীরকে ফোন করলাম, আসলে হঠাৎ না বেপারটা, কালকে আমি এই সময়ে হ্য়ত ওর ঐখানেই থাকবো, তাই ফোন করেছিলাম। আসলে সেই কারনেও ঠিক ফোন করি নাই, ইচ্ছা হয়েছিল তা্ই ফোন করেছিলাম, কারন সব কিছু যখন হাসিবের ম্যানেজ করার কথা, তখন আমার কোন চিন্তা না করাই মনে হয় বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ঠিক কথা হচ্ছিল না আমাদের মধ্যে। খানিক্ষনের নিরবতার পর কেউ একজন একটা কথা বলতেছিলাম, একসময় আমরা দুজনেই উপলব্ধি করতে পারলাম, আমরা আসলে ফোনে কথা বলার জন্যে খুবই বাজে কম্বিনেশন। শুধু শুনেও যে আড্ডা দেয়া যায়, তানভীর তার উজ্জল উদাহরন। আর আমি তো কখনঐ বিষয় খুজে পাই না। কেন জানি বেপারটা ইদানিং লেখার বেলাতেও হচ্ছে, আজকাল আর ঠিক বিষয় খুজে পাই না, আর একই নাকি কান্না করতে আর ভালও লাগে না। তাই লেখাও হয় আগের চেয়ে অনেক কম।
এইবার ইনশাল্লাহ অনেক জা্য়গা ঘুরে ফেলব এই দেশটার। ঘুরে বেড়াতে আমার ধারনা সবাই পছন্দ করে। তবে এত আয়োজন করে ঘুরে বেড়ানো আমার কখনই খুব পছন্দ না। তবে কি আর করা, এই দেশ আর তাতে আমার অবস্থান সব মিলিয়ে ঠিক আর আমাদের হঠাৎ ঘুরে বেড়ানটা আর ঠিক হয়ে উঠে না। ঠিক কি যেন একটা জিনিস নাই এই এক মাস আগে প্লেনে টিকেট কেটে ঘুড়তে যাওয়ার মধ্যে, যা ছিল হঠাৎ আলমের দোকান থেকে উঠে চলে যাবার মধ্যে। অনেক দুর দুরান্তে হয়ত যাচ্ছি, কিন্তু তবুও কি জানি একটা জিনিস নাই। উত্তেজনা হয়ত আছে, তবে তার অনেকটাই ঘুরতে যাচ্ছি বলে নয়, বরং একসাথে আবার সবাই হতে থাকতে পারব বলে, নতুন যায়গা বলে। হয়ত দ্বিতয়বার একই যায়গায় যাবার আর আগ্রহ থাকবে না। অথচ, আমি আরও হাজার বার আমাদের পুরন সব জা্যগায় যেতে পারি। শুধু দেশটার দোষ দিয়ে আর কি লাভ, আমরাও কি খানিকটা বদলে যাইনি?
আব্বুর সাথে কথা হচ্ছিল কালকে, বাবলী, আম্মু সবার সাথেই। কেমন যেন একটা অসহায় ভাব প্রকাশ পায়, আজকাল ওদের কথায়। কথায় কেমন যেন একটা ভাব। ওরাও হয়ত আজকাল একটু হতাশ। আমি নেই, বাবলীও হয়ত থাকবে না আর কয়েক দিন পরে ওদের কাছে। বরই বিচিত্র এই মনুষ্য জীবন!
No comments:
Post a Comment
Please, no abusive word, no spam.